Abdur Rahman College

Abdur Rahman College

আবদুর রহমান কলেজ

   (প্রতিষ্ঠাতা- মোহাম্মদ আবদুর রহমান)
          আবদুল্লাহপুর, সদর, ময়মনসিংহ

আবদুর রহমান কলেজ- এর প্রতিষ্ঠাতা
মোহাম্মদ আবদুর রহমানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

মোহাম্মদ আবদুর রহমান, পিতা- মরহুম মাওলানা আবদুল ওয়াহেদ, মাতা- মরহুমা আমেনা ওয়াহেদ, স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম – আবদুল্লাহপুর, ডাকঘর- অম্বিকাগঞ্জ বাজার, উপজেলা – সদর, জেলা – ময়মনসিংহ; বর্তমান ঠিকানা : আমেনা মঞ্জিল, ১৫৩/৪ মালিবাগ, ঢাকা -১২১৭। জাতীয়তা- বাংলাদেশী, NID No.- ৩৭৩ ২২৩ ৫৪১৫, TIN- ৩২৫২ ৯১৩৯ ৫৯১৩ । তিনি ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আবদুল ওয়াহেদ ভারতের বিখ্যাত “দারুল উলুম দেওবন্দ”- এর টাইটেল ডিগ্রিধারী ছিলেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি দেশ-বিদেশে মসজিদের খতিব/ইমামের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।


জনাব আবদুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে ১৯৭৬ ও ১৯৭৭ সনে যথাক্রমে বি.এস.এস (অনার্স) ও এম.এস.এস এবং ১৯৮০ সনে ক গ্রুপে বি.এড ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের অধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তৎকালীন কাস্টমস ও এক্সাইজ বিভাগের ইন্সপেক্টর পদে সরাসরি যোগদান করেন। গেজেটেড কর্মকর্তার পদ ইন্সপেক্টর, ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা সুপারিনটেনডেন্ট/ রাজস্ব কর্মকর্তা এবং বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারভুক্ত পদ সহকারী কমিশনার হিসেবে বিশেষ দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

মোহাম্মদ আবদুর রহমান ছোটকাল থেকেই একজন প্রখ্যাত সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, জনহিতৈষী ও দানশীল ব্যক্তি হিসেবে সুধীমহলে সমাদৃত হয়ে আসছেন। নারীশিক্ষা ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে তার অবদান বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। তিনি ২০০১ খ্রিস্টাব্দে পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত অরাজনৈতিক, অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান “মাওলানা আবদুল ওয়াহেদ কল্যাণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” [Regd. Under the Societies Registration ACT XXI of ১৮৬০ Vide no. S-২৬৭০(৮৩)২০০২] এর প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন চেয়ারম্যান। পরানগঞ্জ বাজারস্থ ১০ (দশ) শতাংশ জমির উপর নির্মিত “সম্রাট ম্যানসন” নামীয় ৩ (তিন) তলা ভবনটি তিনি ফাউন্ডেশনকে দান করেন। এই ভবনের আয় থেকেই ধর্মীয় ও অন্যান্য কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

তিনি ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে পরানগঞ্জে মা ও অকাল প্রয়াত বোনের নামে “আমেনা-রওশন স্মৃতি গণ-গ্রন্থাগার” প্রতিষ্ঠা করেন। আবদুল্লাহপুরস্থ নিজ বাড়ী সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানের পাশে ভাইদের নিয়ে পৈতৃক সম্পত্তি ওয়াকফ করে “মাওলানা আবদুল ওয়াহেদ জামে মসজিদ” স্থাপন করেন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে পরিবারের সদস্যগণ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নতুন ভবন নির্মাণের মাধ্যমে পিতার নামে পুনঃস্থাপন করেন “মাওলানা আবদুল ওয়াহেদ খাদেমুল উলুম মাদ্রাসা”। ফাউন্ডেশন পরিচালিত যাকাত ফান্ড দরিদ্র রোগী, দুস্থ ও অসহায় মানুষের সহায়তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

জনাব আবদুর রহমান পরানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সভাপতি। সম্প্রতি তিনি অত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ১.৬৩ একর (এক একর তেষট্টি শতাংশ) জমি দান করেন। পরিবার ও এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্তে তাঁর নামে কলেজটির নামকরণ করা হয় “আবদুর রহমান কলেজ“। অধিকন্তু কলেজের সীমানা ঘেসে বেগুনবাড়ি-ফুলপুর আঞ্চলিক সড়ক হতে পরাণগঞ্জ বাজার-চরশ্রীকলদি পাকা সড়ক পর্যন্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজস্ব জমির উপর দিয়ে ১২ ফুট প্রস্থের প্রায় ১২০০ ফুট দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত আহ্বানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক রাস্তাটির নামকরণ করা হয় “আবদুর রহমান কলেজ রোড”

ছাত্রাবস্থায় জনাব আবদুর রহমান ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত “বাংলার দর্পণ” পত্রিকার সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকাস্থ পুরোনো নাট্যগোষ্ঠী “বঙ্গজ নাট্যম”-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি তাঁদের চাকুরিরত সংগঠন “বাংলাদেশ কাস্টমস, এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট এক্সিকিউটিভ অফিসার্স এসোসিয়েশন (বাকাএভ)” এর নামকরণ ও গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ঢাকাস্থ মালিবাগের বাড়ির মালিকগণের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন “আমাদের মালিবাগ”-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা ও গঠনতন্ত্র প্রণেতা। তিনি কাস্টমস এন্ড এক্সাইজ ক্লাব, ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং Lions Club of Dhaka Classic Garden-এর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী ছিলেন। জনাব আবদুর রহমান পরানগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পুরোধা ও গঠনতন্ত্র প্রণেতা

২০১৬ খ্রিস্টাব্দে জনাব আবদুর রহমান স্ত্রী কাশিহা রহমান সহ পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন। তিনি ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, হংকং, ম্যাকাও, চীন, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন।

জনাব আবদুর রহমান এক কন্যা ও ৪ পুত্র সন্তানের পিতা। স্ত্রী কাশিহা রহমান একজন গৃহবধূ হলেও সকল জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁর একনিষ্ঠ সহযোগী। কলেজ ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় পরিবারের সদস্যগণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধ্যমত সহযোগিতা করে আসছেন।